পরিসংখ্যান নিজেই কথা বলে। ১১ই মে’ থেকে ২১শে মে মাত্র দশ দিনের একটি পরিসংখ্যানের দিকে নজর দেওয়া যাক। পরিসংখ্যানের এক দিকে ১৩টি মৃত্যু। যার ভিতর একজন সৈনিক। অন্যদিকে ২৪৩ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু। যার ভিতরে ৬৬টি শিশু। দুই সহস্রাধিক সাধারণ নাগরিক গুরুতর ভাবে জখম। রকেট হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১৬ হাজার বহুতল আবাসন। এই পরিসংখ্যানের বিষয়ে সকলেই কম বেশি অবগত। সকলেই অভ্যস্থ। কারণ ১৯৪৭ সাল থেকেই দফায় দফায় এই পরিসংখ্যানে অভ্যস্ত করিয়ে নেওয়া হয়েছে বিশ্ববাসীকে। পরিসংখ্যানের এক দিকে বিশ্বের সর্বাধুনিক মারণাস্ত্রের বিশাল সম্ভার। অন্যদিকে ইট পাটকেল কয়েকটি সাধারণ রকেট, মান্ধাত্বার আমলের। একে যদি সংঘর্ষ বলা হয় তবে মিথ্যাচার কথাটাও যেন অর্থহীন শোনায়। তারই আবার সংঘর্ষ বিরতি। অর্থাৎ ষোলআনা তামাশা! আর সেই সংঘর্ষ বিরতির ঘটনায় ইজরায়েলের নরপিশাচ নেতানিয়াহুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সদ্য নির্বাচিত ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সংবাদসূত্রে জানানো হচ্ছে, ইজরায়েল প্যালেস্টাইনের ভিতরে শান্তি প্রক্রিয়ায় ইজরায়েলের অন্তর্বতিকালীন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভুমিকায় ভুয়সী প্রশংসা করেছেন বাইডেন। সবাশ! বাইডেনের কাছে গোটা বিশ্বই কৃতার্থ! কৃতজ্ঞ। অবশ্য ট্রাম্প মহোদয় থাকলেও একইভাবে একই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতেন ইজরায়েলের নরপিশাচের। বাইডেন আরও বলেছেন। স্পষ্ট করে বলেছেন। যাতে কেউ কানে ভুল না শোনে। যাতে কেউ ভুলেও না যায়। ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। বাইডেন বলেন নি। প্যালেস্টাইনীদেরও আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। বরং যেটা বলতে চেয়েছেন। যেটা বুঝতে একটা শিশুরও ভুল হবে না। সেটি হলো, প্যালেস্টাইনীদের আত্মরক্ষার কোন অধিকার নেই। আজকে বলে নয়। ১৯৪৭ সাল থেকেই নেই। যেদিন থেকে তাদের নিজেদের দেশকে তাদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ইজরায়েল নামক একটা দখলদারী রাষ্ট্র বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেদিন থেকেই নেই।
বিস্তারিত পড়ুন